৪ টি অন্তবর্তীকালীন আদেশ হলো- ১. মিয়ানমারকে জেনোসাইড কনভেনশন মেনে চলতে হবে,
২. রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা তৎপরতা চালানো যাবে না,
৩. গণহত্যার সাক্ষ্যপ্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না
৪. মাসের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে হবে
আদালতের নির্দেশনায়, জড়িত সেনা সদস্যদের বিচারের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে ৪ মাসের মধ্যে রায় বাস্তবায়ন বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট করতে হবে মিয়ানমারকে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় রায় পড়া শুরুতেই আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ মিয়ানমারের দাবি প্রত্যাখান করে জানান, মামলা পরিচালনার এখতিয়ার আছে আদালতের। একইসঙ্গে গাম্বিয়ার চাওয়া অর্ন্তবর্তী আদেশের অন্যতম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার দাবিকে যথাযথ মনে করেন আদালত।
আদালত বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল বলে যে উল্লেখ রয়েছে তা আদালতের নজরে এসেছে। গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য।
প্রসঙ্গত, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেন আর কোন জেনোসাইড বা নিপীড়ন না হয় সেজন্য অন্তর্বর্তকালীন আদেশ চেয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। ১০ ডিসেম্বর শুরু হয় শুনানি। এরপর বক্তব্য আর পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার। আজকের আদেশে মিয়ানমারে বিপক্ষে রায় আসলে তা যাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানে আদেশ কার্যকরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে চীন ও জাপান মিয়ানমারের পক্ষে থাকায় দেশটির বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ আসলেও শেষ পর্যন্ত তা নাও কার্যকর হতে পারে।