বুধবার ভারতের রাজ্যসভায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেন পুরো ভারতেই কার্যকর হবে এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি। শিগগিরই নাগরিকত্ব দেয়া হবে প্রতিবেশি দেশগুলোর শরণার্থীদেরও।
আসামের মতো পুরো ভারতেই এনআরসি শুরু হবে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান ও পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। তাদের নাগরিক করতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন।
তার বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারতের রাজ্যসভা। হিন্দু-খ্রিষ্টানসহ সকলকে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বললেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু মুসলিমদের এড়িয়ে গেলেন। তাহলে কী ধরে নেবো তিনি শুধু মুসলিমদেরই অবৈধ ঘোষণা করতে চান?
অমিতের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দেন বাংলায় কোনোভাবেই এনআরসি হতে দেয়া হবে না।
চলতি বছরের ৩১ আগস্ট, ভারতের আসামে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাদ পড়েন, ১৯ লাখের বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই সনাতন ধর্মাবলম্বী। সংসদের চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার কথা রয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের।