জাতিসংঘের হিসাবে, বিশ্বের ৪৫ কোটির বেশি মানুষ মুক ও বধির। কথা বলতে পারেন না, তাই মনের ভাব প্রকাশ ও অন্যের কথা বোঝার জন্য ঠোটের নড়াচড়া ও হাতের ইশারাই তাদের ভরসা। এমনিতেই পৃথিবী তাদের কাছে কঠিন, এর মধ্যে করোনা জীবন করে তুলেছে কষ্টের। সংক্রমন ঠেকাতে সবাই মাস্ক পড়ায় কঠিন হয়ে উঠেছে তাদের যোগাযোগ।
তবে প্রয়োজন থেকেই উদ্ভাবনের জন্ম। তাইতো এশিয়া থেকে ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে ওশেনিয়া, ইউটিউব দেখে নিজেদের উপযোগী মাস্ক তৈরি করে নিচ্ছেন অনেক বাকপ্রতিবন্ধিরা।
ইন্দোনেশিয়ার নারী ফাজিয়া বদরুদ্দিন। নিজে বধির। ছোট একটি দরজির দোকান তার। মাস্কে মুখ ঢাকা থাকায় মানুষের কথা বুঝতে কঠিন হয়। তাই ইন্টরনেট ঘেটে শিখে ফেলেছেন মাস্ক তৈরীর উপায়। কুশন, বেডশিট সেলাইয়ের পাশাপাশি চলছে তাদের এই কাজ। প্রতিটা মাস্ক বিক্রি করেছেন প্রায় ১ ডলার দামে।
তাদের দোকানে প্রতিটা দিন কয়েক ডজন স্বচ্ছ মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। তবে এই ছোট্ট প্রচেষ্টা নীরবে বলে চলেছে অনেক না বলা কথা।