চীন থেকে শুরু এরপর ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া হয়ে করোনায় মৃত্যুর মিছিল পৌঁছেছে আফ্রিকাতেও। বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া একবিংশ শতাব্দির এই ঘাতকের তালিকা থেকে বাদ যায়নি শিশু থেকে বৃদ্ধ, কেউই।
কিন্তু আতঙ্কের বিশ্বে আশার আলো হয়ে উঠেছেন যে কজন তাদেরই একজন কোনি টিচেন। ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে যখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে লাশের সংখ্যা। তখন, দুরারোগ্যকে পরাস্ত করে ফিরেছেন এই ব্রিটিশ ওল্ড সিটিজেন। তাও একশো ৬ বছর বয়সে।
মৃত্যুকে ফাঁকি দেয়া অবশ্য নতুন কিছু নয় টিচেনের। জন্মের ১ বছরের মাথায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর ৫ বছর বয়সে স্প্যানিশ ফ্লু, কোন কিছুই হার মানাতে পারেনি তাকে। জীবন প্রদীপ থামাতে পারেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও।
করোনার উৎপত্তিস্থল উহানেও আছে আশা জাগানিয়ে অনেক গল্প। যার একজন হ্যান তিয়ানকি। ৯৮ বছর বয়সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলের আইসিও পর্যন্ত গিয়েছিলেন এই জোতির্বিদ। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন তিনিও।
জীবনযুদ্ধে বেঁছে যাওয়ার আরেক অলৌকিক গল্পের সাক্ষী হয়েছে চীনের হুয়াংজু প্রদেশ। করোনার ভয়াল থাবায় মায়ের কোল ছেড়ে হাসপাতলের বেডে যেতে হয় এক মাস বয়সী এক শিশুকে। তবে চিকিৎসাকর্মীদের পরম যত্নে শেষ পর্যন্ত মায়ের কোলে ফেরে সেই ছোট্ট শিশুটি।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও করোনার চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে ফেরার ভিন্ন দৃষ্টান্ত গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক মা। গর্ভাবস্থার শেষ ধাপে কোভিড নাইনটিনে
আক্রান্ত হোন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা আইরিশ নোলাস্কো। শারীরিক অবস্থার অবনিত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই অস্ত্রোপচারে জন্ম নেয় তার সন্তান।
কিন্তু করোনা ঝুঁকি থাকায় ২৫ দিন ছুঁয়ে দেখা হয়নি কন্যা ইসাবেলাকে। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরাও ছেড়ে দেন আশা। তবে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের টানে শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেন নোলাস্কো।