করোনার ছোবলে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। প্রতিষেধকের জন্য যখন হাহাকার তখন আশার আলো দেখাচ্ছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
অক্সফোর্ডের একদল বিজ্ঞানীর তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে দুজনের মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথম ভ্যাকসিন নেন একজন বিজ্ঞানী, যার নাম এলিসা গ্রানাতো। তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডকে সাহায্য করতেই ভ্যাকসিনটি নিতে রাজি হয়েছেন তিনি।
একজন বিজ্ঞানী বলেন, আমি নিজে একজন বিজ্ঞানী। তাই বৈজ্ঞানিক এই কর্মকাণ্ডকে সাহায্য করতেই ভ্যাকসিনটি নিতে রাজি হয়েছি। যেকারণে আমি এখানে এবং খুবই আশাবাদী।
বিজ্ঞানীদের আশা, চূড়ান্ত পরীক্ষা সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিলবে প্রতিষেধক। আগামী মে মাস নাগাদ আরও ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরেও প্রয়োগ করা হবে এই ভ্যাকসিন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট এই পরীক্ষা পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী। কেননা, এর আগেও এমন পরীক্ষা প্রযুক্তি আমি ব্যবহার করেছি। আমাদের প্রচুর ডেটা সংগ্রহ করতে হবে, যদিও বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরিতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে গবেষণা শুরু করেছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটির নাম -চ্যাডক্স ১। ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার জন্য ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়।
এই মুহুর্তে আমাদের পরিকল্পনা মানুষকে ডোজ দেয়া এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য পর্যবেক্ষণ করা। সুরক্ষা সরবরাহের জন্যও যথেষ্ট কি না তা দেখা। ৭০ বছর বয়সীদের জন্য এটা প্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু কম সেহেতু ডোজ বেশি প্রয়োজন কিনা সেটিও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা একের পর এক করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি কোনো সুসংবাদ। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ৯০ হাজারের বেশি।