কিডনি ডায়ালাইসিসের ব্যয়, হাসপাতালে যাওয়া আসার ঝক্কি, সময় সবকিছুর সাথে আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না ৪০ বছর বয়সী জাহিদুর রহমান। খুব করে চান কিডনি প্রতিস্থাপন করতে। কিন্তু বাধা আইন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন অনুযায়ী নিকট আত্মীয়, আইনানুগ উত্তরাধিকারী ছাড়া প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। তাই দেশে না পেরে জাহিদুর রহমান সিদ্ধান্ত নেন পাশের দেশে গিয়ে কিডনী প্রতিস্থাপন করাবেন।
দেশে কিডনি রোগে ভোগা বেশিরভাগই চান প্রতিস্থাপন আইনটি সংশোধন করা হোক। তাহলে সপ্তাহে তিনবার চার ঘন্টার ডায়ালাইসিসের যন্ত্রণা আর খরচ থেকে বেঁচে যেতেন।
এই আইনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনটি সংকীর্ণ। ইউরোপ, অ্যামেরিকা এমনকি এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনে উৎসাহিত করে সেখানে বাংলাদেশে উল্টো।
ডা. জাফরুল্লাহর হিসাবে দেশের বাইরে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বছরে ৮০০ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, যত দ্রুত আইনটি সংশোধন হবে কিডনী রোগীদের কষ্ট, ব্যয় তো কমবেই। উন্নতি হবে দেশের চিকিৎসা খাতেরও।