জাতীয় নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। অর্থাৎ, কোনো প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি তারা।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া এক হাজার ৪২২ জনের মধ্যে, ধানের শীষ প্রতীকেরই ১৬৩ জন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৮১টি আসোন লড়েছেন বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের প্রার্থীরা। জয়ী পাঁচজন বাদে বিএনপির ১৫২ এবং জামায়াতের ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। যে তালিকায় আছেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদের মতো ডাকসাইটে নেতাও।
এছাড়া বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাফিজ ইব্রাহিম, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, শাহজাহান ওমর, লুৎফর রহমান খান আজাদ, মিজানুর রহমান সিনহা, রেদোয়ান আহমদও হারিয়েছেন জামানতের অর্থ।
সম্প্রতি আয়ামী লীগ থেকে গণফোরামে যোগ দেয়া অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জামায়াতের রফিকুল ইসলাম খান, মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবুল কালাম আজাদ, যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসানাই সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কাস্তে প্রতীকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। আর মোটরগাড়ি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারও হারিয়েছেন জামানতের অর্থ।
এর আগে কোনো নির্বাচনেই এতো বেশি সংখ্যক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। সবশেষ নবম জাতীয় নির্বাচনে এক হাজার ৫৬৭ প্রার্থীর মধ্যে ৯৪১ জন জামানত হারিয়েছিলেন।
এবার জামানত বাজেয়াপ্তদের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২৯৭ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন মাত্র একজন। আর জাতীয় পার্টির ১৫৪ জনের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ১৩৩ জন।
১৩০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১১৬ জনেরই।