'সূর্যের আলোতেও ভূতুড়ে চারদিক, ফাঁকা রাস্তাঘাট, ঘরবন্দি মানুষ।' গত বছর এপ্রিলে লকডাউনের এ ছবি ছিলো রাজধানীবাসীর কাছে বড় অচেনা। সবার মাঝে ছিলো ভয় আর আতঙ্ক। জীবিকার খোঁজে অনেকে রাজধানী ছাড়লেও, যারা ছিলেন ইটকাঠের এ শহরে মেনে চলেছেন সরকারি নির্দেশনা।
ঠিক এক বছর পর আবারও সেই লকডাউন। গত বছরের চেয়ে সংক্রমণ আর মৃত্যু বাড়লেও, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার। করোনার ভয় নেই, শুধুই ছুটে চলা জীবিকার তাগিদে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলছে, সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার কঠোর হলেও সবার আগে সচেতন হতে হবে জনগণকেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গেলবার লকডাউনে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে; এবার বৈশাখ আর ঈদে তা পুষিয়ে নেয়ার আশা ছিলো ব্যবসায়ীদের। তাই এবারের লকডাউনে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে জীবিকা।
করোনা যেহেতু সহজেই যাচ্ছে না তাই সংক্রমণ রোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।