গত শুক্রবার (২০ মে) ঘূণিঝড় আম্পানের প্রভাবে টানা বর্ষণ আর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ৪৩টি পয়েন্ট ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশাশুনির প্রতাপনগর। এরপর পেরিয়েছে ৬ মাস। তবে বিপর্যস্ত সেই প্রতাপনগরের চিত্র পাল্টায়নি এতটুকু। ভয়াবহতা যেন আরো জেকে বসেছে ইউনিয়নের ২১টি গ্রামের ৩৬ হাজার মানুষের জীবনে।
এখনো ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা আর বেড়িবাঁধের কাঁদা পানিতেই স্থানীয়দের বসবাস। শুরু হয়নি বেরিবাঁধে মেরামতের কাজও। নেই সুপেয় পানি আর স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এমনকি প্রিয়জন মারা গেলে নেই দাফনের সামান্য উপায়। এমন জীবন যাপনের কথা জানান প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন।
জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রতাপনগরের মানুষের এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।