শতবর্ষী জিতার আলী ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে পরিবার নিয়ে বাস করছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জে বন বিভাগের জমিতে।
শুধু জিতার আলীর পরিবার নয়, সীমান্তবর্তী উপজেলা নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে বন বিভাগের জমি দখল করে বাস করছেন পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ।
গারো পাহাড়ের জমি কেটে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়ি, বনে জমিতেই হচ্ছে চাষাবাদ। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বন, অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে গারো পাহাড়।
বন বিভাগের জমিতে বসবাসের কথা স্বীকার করলেও, দীর্ঘদিন থাকার দোহাই দিচ্ছেন বসবাসকারীরা। দাবি জানান, উচ্ছেদ না করে পুনর্বাসনের।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইলিসুর রহমান বলেছেন, দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গেলে উল্টো বন কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়ান।
ময়মনসিংহ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেছেন, দখলদারদের তালিকা তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আর পুনর্বাসনের মাধ্যমে দখলদারদের দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বন বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, শেরপুরে ২০ হাজার একর বনবিভাগের মাধ্যে সংরক্ষিত বন রয়েছে পাঁচ হাজার নয়শো একর। এর মধ্যে দখল হয়ে গেছে দুই হাজার একরেরও বেশি।