জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের আশা বানু। গত বছরের (২০১৯ সাল) ২৪ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের পাঁচবিবি শাখা থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। শাখা ব্যবস্থাপকের নিয়োজিত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণের অর্থ হাতে পান। কিছুদিন পরই জানতে পারেন ব্যাংকে তার নামে ঋণ দেখানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
একই পরিস্থিতির শিকার ওই গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঋণ না পাওয়ায় দালালের সহযোগিতা নিতে হয়েছে।
এমন শতাধিক অভিযোগ রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের পাঁচবিবি শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে।
যদিও অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক শাহ আলমের দাবি, খেলাপি ঋণ ঠেকাতেই এ কৌশল অবলম্বন।
অভিযোগের সত্যতা মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান মো. আব্দুল মান্নান।
জয়পুরহাটে ৯টি শাখার মাধ্যমে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৬ মাসে মোট ৪ কোটি ৪১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করে অগ্রণী ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচবিবি শাখার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে, ১ কোটি ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।