জনবল সংকটে প্রায় দুবছর ধরে বন্ধ জামালপুরের ১১টি রেলস্টেশন। এর মধ্যে নরুন্দি ও দূরমুট স্টেশন দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা থাকলেও বাকি সময় থাকে তালাবদ্ধ। পূর্ববর্তী সচল স্টেশন থেকে চালককে দেয়া হয় কাগজে লেখা ক্লিয়ারেন্স। তাই নিয়েই বন্ধ রেলস্টেশনের সিগন্যাল পার হন চালকরা।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর স্টেশন মাস্টার আব্দুল রাজ্জাক বলেন, মাঝখানের রেলস্টেশনগুলো এভাবে বন্ধ থাকায় দূর্বৃত্তরা যদি কোন নাশকতামূলক কার্যক্রম করে তাহলে সেটা জানার সুযোগ থাকে না।
স্থানীয়রা বলছেন, স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় টিকিট বিক্রি, সিগন্যাল ক্লিয়ারেন্সসহ বন্ধ রয়েছে সব কার্যক্রম। এ সুযোগে প্রায়ই রেল লাইনের লোহাসহ যন্ত্রপাতি খুলে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে রেল লাইন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা রেজাউল হক বলেন, লোকবল নিয়োগ না হলে বন্ধ স্টেশনগুলো সচল করা অসম্ভব।
এদিকে, কালোবাজারে টিকিট বিক্রি, সিডিউল বিপর্যয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
লালমনিরহাটের বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, যাত্রীসেবার মান বাড়াতে কাজ করছেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করে ডুয়েল গেজ করা পঞ্চগড় রেলপথে শূণ্যের কোঠায় পৌঁছেছে যাত্রীসেবা।