প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদে মৎস্য বিভাগের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ নভেম্বর থেকে ইলিশ আহরণে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা মানায় সুফলও ভোগ করছেন তারা।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ভোলা জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মিলছে রূপালি ইলিশ। তবে জালে ধরা পড়ছে, ডিমসহ মা মাছও। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত নদীপাড়ের মাছ বাজার।
জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পর নদীতে ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। দামও মিলছে ভালো। যা পাঠানো হচ্ছে, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে।
এক জেলে বলেন, নদীতে মাছ ধরা ভালই পড়ছে। আয়ও বাড়ছে, আল্লাহ কামাই ভালই দেয়।
ব্যবসায়িরা জানান, এ মৌসুমে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সরকারের নেয়া পদক্ষেপে, জেলেদের সহযোগিতায় এবার জেলায় আশানুরূপ ইলিশ উৎপাদন হয়েছে বলে জানায় মৎস্য বিভাগ।
ভোলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আমাদের যে কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করা হয়, এই কার্যক্রমগুলো সফলতারসহিত বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।
এ বছর ভোলায় ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।