ট্রেন দুর্ঘটনায় এক পা হারানো হাসিনা আক্তার। মানুষের সহযোগিতায় কিছু টাকা জমিয়ে কোনরকমে একটি ঘর তোলেন লালদিয়ার চরে। কিন্তু উচ্ছেদে হারিয়েছেন মাথা গোজার সেই ঠাঁই। ছোট ৩ সন্তান নিয়ে এখন কোথায় যাবেন অসহায় এ নারী?
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে হাসিনার মতোই অবস্থা কম-বেশি সবার। পুনর্বাসন ছাড়াই গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাদের ৫ দশকের বসতি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ১৯৭২ সালে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি সম্প্রসারণে পৈত্রিক ভূমি থেকে লালদিয়ারচরে তাদের সরিয়ে নেয় বঙ্গবন্ধুর সরকার। এখন বন্দরের জায়গা বলে সরাসরি তাড়িয়েই দেয়া হলো।
আদালতের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকে বুলডোজারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে উচ্ছেদ চালানোর ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও বসবাসকারী নিজেরাই মালামাল সরিয়ে নেন। এরপর উদ্ধার হওয়া জায়গা সংরক্ষণে কাঁটাতারের বেড়া দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
লালদিয়ার চরে বসবাস করতেন ২৩শ' পরিবারের ১৪ হাজার মানুষ।