গত ১২ জানুয়ারি রাতে পাঠানটুলির মগপুকুর পাড়ে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা আজগর আলী বাবুল। অভিযোগ, দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের কর্মীদের গুলিতে প্রাণ গেছে তার।
ঘটনার পরপরই ২৫ সহযোগীসহ আটক হন কাদের। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কাদেরের পরিকল্পনায় পরিকল্পিতভাবে বাবুলকে হত্যা করা হয়েছে। কেননা, গত সিটি নির্বাচনে বাবুল ছিলেন কাদেরের পক্ষে।
মামলার তদন্ত সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মনজুর মোরশেদ বলছে, খুনের প্রকৃত রহস্য জানার চেষ্টা চলছে।
কাদের এলাকায় যেন ত্রাস। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাঙ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এক সময়ের সিএমপির শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদের নয়বছর ছিলেন কারাগারে। বের হয়ে, ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে হয়ে যান কাউন্সিলর। এবার দলের মনোনয়ন না পেলেও দাঁড়িয়ে যান বিদ্রোহী হিসেবে।
কাদেরের বিরুদ্ধে ছিল হত্যাসহ ২৯টি মামলা। কিন্তু রাজনৈতিক অনুকম্পায় ১টি ছাড়া সব মামলাতেই খালাস পান।