কর্ণফুলি নদী। যাকে বলা হয় দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ। ২০১১ থেকে ৪ বছর কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চালানো বেসরকারি এক গবেষণায় উঠে আসে কোথাও কোথাও কর্ণফুলির প্রশস্ততা সাড়ে ৮শ মিটার থেকে নেমে এসেছে ৫শ মিটারে। ডুবোচর আছে ১৫টির মতো। গভীরতা সর্বোচ্চ ১১ মিটার থেকে ঠেকেছে ৯ মিটারে। আর চ্যানেল বা নৌচলাচল রুট বদলেছে ১৫ পয়েন্টে।
এমন বাস্তবতায় প্রায় ৬ দশক পর আবারো এই নদীতে সমীক্ষা চালাতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ ক্রমবর্ধমান বিশ্ববাণিজ্য মোকাবেলায় বন্দরকে ঠিক করতে হচ্ছে যুগপযোগী
কর্মপরিকল্পনা। এই সমীক্ষার দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান এইচ আর ওয়েলিংফোর্ড। যারা কর্ণফুলির পাশাপাশি সমীক্ষা চালাবে সাগরে মিরসরাই থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত।
উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন গবেষকরা। বলছেন, কাজটি যেন দায়সারাগোছের না হয়। আর থাকতে হবে সুপারিশ-মতামতকে কাজে লাগানোর আন্তরিকতাও।
আগামী ৯ মাসে কর্ণফুলি নদীর সমীক্ষায় ব্যয় হবে ১৪ কোটি টাকা।