চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে এবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ। কিন্তু সেটা ছাপিয়ে আলোচনায় বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বাদ পড়া। তিনি মরিয়া চেষ্টা চালালেও পাননি দলের টিকিট।
কেন মনোনয়ন পাননি আ জ ম নাছির, সেটা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ চলছে নানাস্তরে। বলা হচ্ছে, নিজের তরফে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশই এবার তার বিরোধীতায় নামে। কারণ নানা বিষয়ে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের সাথে তার দূরত্ব বেড়েছে। এরসাথে যোগ হয়েছে, আরও কিছু ইস্যু।
জানা গেছে, মাঠপর্যায় থেকে নাছির সম্পর্কে অনেক তথ্য গেছে দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছে। এসব দেখে তারা বিরাগভাজন হন তার ওপর। এরবাইরে যেকজন শীর্ষ নেতা মনোনয়ন চান তাদের দিলে গ্রুপিং আরও বাড়তে পারে আশঙ্কায় শেষপর্যন্ত বেছে নেয়া হয় অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রেজাউল করিমকে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, নানান বিবেচনায় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজনীতিতে অনেক কিছুই আমাদের বিবেচনা করতে হয়। সকল বিবেচনায় কমিটি মনে করেছে যাকে আমরা দিয়েছি রেজাউল করিম তিনি একটা ভাল প্রার্থী এবং চট্টগ্রামের মানুষ এটি গ্রহন করবে।
অবশ্য এসব কিছু মানতে নারাজ আ জ ম নাছির। নিজেকে দাবি করেছেন শতভাগ সফল হিসেবে। তবে বাদ পড়া নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বলেন, এটাতো আর আমি বলতে পারবো না, এখানে জননেত্রী নির্ধারক। নিশ্চয় এখানে তিনি যেটা ভাল মনে করছেন সেটা করছেন।
২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচিত হন আ জ ম নাছির। এরপর দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে সরকারি দলের মেয়ররা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেও একমাত্র ব্যতিক্রম তিনি। পাঁচবছর মর্যাদা ছাড়াই কাটিয়ে দেন নগর আওয়ামীলীগের এই নেতা।