এসময় তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির পর থেকে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের যে জোয়ার বয়ে যাচ্ছে তারই একটি নমুনা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে আর্থসামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় ২৩ একর জায়গায় প্রায় ১শ' ১০ কোটি টাকায় এ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। স্থানীয় নেতা ও পদস্থ কর্মকর্তাগণ উদ্বোধনকালে রাঙামাটিতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে মোট বিদ্যুত উৎপাদনের ১০ ভাগ যোগান দেবে নবায়নযোগ্য কেন্দ্রগুলো। তারই অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটিতে স্থাপন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল বাঁধ সংলগ্ন ২৩ একর জায়গার উপর এই কেন্দ্রের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ৯ জুলাই। প্রায় দু'বছর কাজ শেষে এখন জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে এ কেন্দ্র থেকে। পুরোদমে চালুর পরই এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ যাবে জাতীয় গ্রীডে। এই কেন্দ্রে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ৫ টাকা ৪৮ পয়সা। কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেডটিই কর্পোরেশন। যাতে বসানো হয়েছে ২৪ হাজার ১২টি প্যানেল। বর্তমান কেন্দ্রটি স্থাপনে ১১০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দিয়েছে এডিবি।