বাংলাদেশের পালে এখন লেগেছে উন্নয়নশীল দেশের হাওয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালেই ঘুচবে গেল ৪৬ বছর ধরে লেগে থাকা স্বল্পোন্নত দেশের তকমা।
মিলবে বড় বড় ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ, ঘটবে মর্যাদার উন্নয়ন। তবে আসবে অভিঘাতও। চলে যাবে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে এত বছর ধরে পেয়ে আসা শুল্কমুক্ত সুবিধা। দেয়া যাবে না কৃষিতে ভর্তুকি। ঔষুধের ক্ষেত্রেও থাকবে না মেধাস্বত্বের টাকা না দিয়েই উৎপাদনের সুযোগ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসাবে বাংলাদেশ সহ যে ১২ রাষ্ট্রকে উন্নয়শীল দেশের তালিকায় নাম লেখানো হাতছানি দিচ্ছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশকেই গুণতে হবে সবচেয়ে বেশি হারে শুল্ক। ফলে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি কমতে পারে বাংলাদেশেরই। সাথে রয়েছে ওষুধের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
সিপিডির মতে, নীতি নির্ধারণে আগামী দিনের কৌশল নির্ধারণের সময় তাই এখুনি।
ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর দাবি, আগামী দিনের এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েই ওয়াকিবহাল সরকার। রয়েছে মোকাবেলার প্রস্তুতিও।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসাবে, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এলে বাংলাদেশের রপ্তানির সুযোগ কমতে পারে ১৪ শতাংশের বেশি।