গেলো কয়েক মাস ধরে কিছুটা চাঙা দেশের পুঁজিবাজার। লেনদেন যেমন বেড়েছে তেমনি সূচকেও এসেছে সুবাতাস। কিন্তু এ উত্থানের সাথে সেভাবে বাড়েনি ব্যাংক খাতের কোনো শেয়ারের দাম। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামে সাময়িক প্রভাব পড়লেও তা চুপসে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লভ্যাংশ প্রদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে।
গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ লভ্যাংশের সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় লাভ যতই হোক ১৫ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না কোনো প্রতিষ্ঠান। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি তারা কোনো লভ্যাংশই দিতে পারবে না। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশ ১৫ শতাংশ বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ধরণের সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপের সামিল। একই সাথে রয়েছে সমন্বয়হীনতা।
বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিএসইসিও। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কমিশনের সাথে পরামর্শ করলে অনাহুত সমস্যা এড়ানো যেতো।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বাংলাদেশে ব্যাংকের মুখপাত্র। ২ মার্চ প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে বিনিয়োগকারিদের একটি সংগঠন।