প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের বুনন শিল্পের ঐতিহ্য বহন করে চলছে এই বাংলার মাটি। একসময় মসলিনের হাত ধরে যা সুনাম কুড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে।
সময়ের কালক্রমে মসলিন বিলীন হলেও তাঁতীর নকশার আঁচড়ে এখনও বেঁচে আছে তারই অপভ্রংশ জামদানি।
জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সেই জামদানি শিল্পের সাথেই কাটিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আসলাম হোসেন। তবে করোনায় তাঁত বন্ধ থাকায় হিসাব নিকাশের খাতায় আঁচড় কেটেছে ঋণের বোঝা। সরকারি প্রণোদনার যত কথা, তা শুধু পত্রিকার পাতায়ই পড়েছেন; অর্থপ্রাপ্তির বাস্তর চিত্রটা যে পুরোই উলটো।
এর মাঝেই আসলামের মত নারায়নগঞ্জের তাত শিল্পীরা স্বপ্ন দেখেন আসছে পহেলা বৈশাখ আর ঈদ ঘিরে। যেখানে অনলাইন ব্যবসা খোড়াক জুগিয়েছে বাড়তি ব্যস্ততার। তবে উৎসবকেন্দ্রিক চাহিদার বিপরীতে তাঁতী কমেছে বলে জানান, ব্যবসায়ীরা।
বিশ্লেষকদের মতে, তাঁতীদের বাচাতে দরকার বাজারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করার প্রশিক্ষন। করোনাকালে নারায়নগঞ্জের জামদানি পল্লীতে বন্ধ হয়েছে প্রায় ৫০০ তাঁত।