স্বাধীনতার পর ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ বিশ্বমানচিত্রের অপরিহার্য অংশ। ১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর, অগ্রগতি হয়েছে মাথাপিছু আয়, মানব উন্নয়ন সূচক কিংবা অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার ক্ষেত্রে। তার ওপর ভিত্তি করেই ২০১৮ সালের মার্চে প্রথম এই তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে জাতিসংঘ।
এ বছরের দ্বিতীয় পর্যালোচনায়ও ঈর্ষণীয় অবস্থান বাংলাদেশের। কারণ, আগের তিন বছরের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১২৪৪ ডলারে। এছাড়া, মানব উন্নয়ন সূচক ৭৩ আর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক সোয়া পঁচিশ। যা ছাড়িয়ে গেছে প্রতিটি মানদণ্ডকেই।
উত্তরণের পর কোন ধরনের সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ? এ নিয়ে সরকারি কিংবা একাধিক গবেষণা সংস্থা তুলে এনেছে নানা রকম পর্যবেক্ষণ। যেখানে মূল সঙ্কট হিসেবে এসেছে রপ্তানি বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়তি মাশুল গোণা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেষ তিন বছরে এ নিয়ে কাজ হয়নি কিছুই। তাই, পরের পাঁচ বছর এগুতে হবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায়।
কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে ১৯৭১ সালে ২৫টি দেশ নিয়ে এলডিসির বিশেষ এই শ্রেণী চালু করে জাতিসংঘ। যাতে বর্তমান সদস্য দেশ ৪৬।