রাজধানীর টয়েনবি সার্কুলার রোডে পূর্ণিমা ফিলিং স্টেশনটি চলছে সেই পাকিস্তান আমল থেকেই। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ৩২টির মধ্যে এটিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা এখনো সচল। অলাভজনক দেখিয়ে গেল বছর এই প্রতিষ্ঠানটিকেও ভাড়া দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যদিও ট্রাস্টের নথিই বলছে এটি লোকসানে ছিলনা কখনোই।
এমনই সব অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর অনিয়মের বেড়াজালে বেহাল মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। অথচ স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে ট্রাস্টের মোট সম্পদ রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার। জমি আছে ৭০ একরের মত। এসব জমি আর স্থাপনা থেকে মাসে আয় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। বিপরীতে ব্যয় প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত ব্যয়ের ঘাটতি মেটানো হয় ট্রাস্টের ১৯২ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত থেকে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, আগের অনিয়মের বিষয়ে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। দায়িত্ব পেয়েছেন নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে ট্রাস্ট সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে যথাযথ ব্যবহার করতে না পারায় ট্রাস্টের সব সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকে স্থায়ী আমানত করলেই বরং সুফল মিলবে বেশি।
বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মোট জনবল ২৬৮ জন।