ব্যবসা সম্প্রসারণের মূলধন জোগাড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অনেক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থতা, বার্ষিক সাধারণ সভা না করাসহ বিভিন্ন কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো এরইমধ্যে ছিটকে পড়েছে মূলবাজার থেকে।
ছিটকে পড়া এসব প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে 'এক্সিট প্ল্যান' শিরোনামে নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিএসইসি। নির্দেশনায় বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের ওটিসি বা এটিবিতে থাকা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-পরিচালকরা চাইলে শর্তসাপেক্ষে বেড়িয়ে যাওয়ার আবেদন করতে পারবে। বিএসইসি চাইলে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এই আবেদনের জন্য ৭টি শর্ত জুড়ে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তার মধ্যে উলেক্ষযোগ্য শর্তগুলো..দুই বছরের বেশি সময় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা বা টানা তিন বছর লোকসান করা বা পুঁঞ্জিভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি হওয়া বা টানা তিন বছর নগদ লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হওয়া এবং টানা দুই বছর এজিএম ব্যর্থতা অন্যতম।
কী প্রক্রিয়ায় বাজার থেকে শেয়ার কিনতে হবে তাও ঠিক করে দিয়েছে বিএসইসি। দুর্বল কোম্পানিগুলোকে কীভাবে এক্সিট প্ল্যানের মাধ্যমে বের করে দেয়া হয়, তা দেখার অপেক্ষায় পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।
বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলছেন, পুঁজিবাজারে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে কমিশন।
দুর্বল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ডিএসই'র জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয় ৩৮টি প্রতিষ্ঠান। আর ওটিসিতে আছে ৬৪ প্রতিষ্ঠান।