সঙ্কট যেন পিছু ছাড়ছে না বোয়িংয়ের। 737 ম্যাক্স নিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে চলা বিতর্ক যখন অবসানের পথে, তখনই দুর্ঘটনায় পড়লো আরেকটি বিমান। যদিও এবারেরটা ২০ বছরের পুরোনো।
যাত্রী, ক্রুসহ ৬২ আরোহী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মাথায় কন্ট্রোল রুমের সাথে 737-500 বিমানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এর প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর ওই বিমানের সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ফ্লাইট রেকর্ডার থেকে পাওয়া সংকেত এবং স্থানীয় জেলেদের তথ্যের ভিত্তিতে, বিমানবন্দরের ২৪ কিলোমিটার উত্তরে লাকি দ্বীপের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ।
এখনো জানা যায়নি দুর্ঘটনার কারণে। কিন্তু নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ বাণিজ্য নিয়ে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন পুঁজিবাজারে প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে বোয়িংয়ের শেয়ারদর।
এই ঘটনার পর নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় আসতে পারে, বিভিন্ন দেশে থাকা বোয়িংয়ের সব বিমান।
কয়েক বছরের মধ্যে বোয়িংয়ের একাধিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে বোয়িংয়ের বিমানে যাত্রা থেকে বিরত থাকতে স্বজনদের পরামর্শ দেবো।
বোয়িং 737 ম্যক্স বিমান উড্ডয়নের অনুমতির পরই তাদের আরেকটি বিমান দুর্ঘটনা কবলিত হলো। কোনো ত্রুটি না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতো না।
দুর্ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি ইন্দোনেশিয়া ও বোয়িং। এদিকে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে 737 ম্যাক্স দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ৫০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে বোয়িং। একইসঙ্গে তথ্য গোপণ ও প্রতারণার অভিযোগে দিতে হচ্ছে আরো ২শ কোটি।