করোনায় দেশে কত যে মানুষের ব্যবসা থমকে গেল সে তালিকায় আছেন রেজবিন হাফিজও। তার ছোট্ট জুতার কারখানার উৎপাদন একসময় নেমে আসে এক তৃতীয়াংশে।
তবে ধীরে হলেও সময় পাল্টাচ্ছে। আবার আসছে অর্ডার। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের ক্ষতি পোষাতে যে নতুন পুঁজি দরকার, তা আর কিছুতেই মেলে না।
দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসএমই খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় দুই কোটি মানুষ। আইএফসির প্রতিবেদন বলছে, যাদের প্রায় ৯৪ শতাংশই করোনায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এখনো এ খাতের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী দিন পার করছেন ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায়।
তবে উল্টোপিঠে আশাও আছে। ইউএনডিপির সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা যায়, দেশে আগামী ১ বছরে এ খাতে তৈরি হতে পারে ১৫ লাখ নতুন কাজের সুযোগ। আর পিআরআই বলছে, এই কর্মসংস্থানের ৭৪ শতাংশই হতে পারে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানেই। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, সম্ভাবনার কিছুই হবে না বাস্তব, যদি না পাওয়া যায়, এসএমই খাতে অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা।
বাংলাদেশের জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান এখন ২৫ শতাংশের মত।