এই মুহূর্তে সরকারের হাতে বাড়তি যে বিদ্যুৎ আছে, তাতে প্রয়োজন নেই নতুন কেন্দ্রের। তবু পিডিবির হিসাবে, চলতি বছরে যুক্ত হওয়ার কথা আড়াই হাজার মেগাওয়াট; পরের বছরও একই পরিমাণ। এমন বাস্তবতায়, কয়লা থেকে সরে পরিকল্পনা করা হচ্ছে আরো দামী, আমদানি করা এলএনজি দিয়ে উৎপাদনের।
মহাপরিকল্পনায়, কয়লা থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ আসার কথা ছিল, তাই সরকার আনবে এলএনজি পুড়িয়ে। সেক্ষেত্রে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনায় থাকা সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াটের সাথে নতুন যুক্ত হবে আরো সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি। আর এসব কেন্দ্র চালাতে প্রতি বছর জ্বালানি আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হবে বিপুল অর্থ। তাহলে কেনো এই সিদ্ধান্ত?
এলএনজির বাইরে বড় বিকল্প হতে পারতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। কারণ, হিসাব বলছে, কেবল পরিকল্পনায় থাকা কয়লা বিদ্যুতের জন্য নির্ধারিত জায়গা ব্যবহার করেই উৎপাদন সম্ভব প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ। যদিও, দীর্ঘমেয়াদে সরকারি লক্ষ্যমাত্রাই অনেকখানি ছোট। এছাড়া, নেপাল, ভূটানে বিনিয়োগ বাড়িয়েও আমদানি করা যেতো তুলনামূলক সস্তা বিদ্যুৎ। যাতে সাশ্রয় হতে পারতো মোটা অঙ্কের অর্থ।
সারাদেশে জরিপ করে প্রায় ৪০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের হিসেব পেয়েছে সরকারি সংস্থা স্রেডা এবং ইউএনডিপি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্যাস, তেল কিংবা কয়লার চেয়ে বরং মনোযোগী হওয়া দরকার সেদিকে।