মাস তিনেকের করোনাযুদ্ধে এক রকম বিধ্বস্ত হওয়ার পথে বৈশ্বিক অর্থনীতি। বিশ্বের নামি-দামি শেয়ারবাজারগুলোতে সূচক খোয়া গেছে তিনভাগের একভাগ। জ্বালানি তেলের দাম নেমেছে ১০ বছর আগের অবস্থায়। ধস নেমেছে হোটেল এবং বিমান ব্যবসায়। প্রায় সব দেশে দোকানপাট বন্ধ থাকায় উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কারখানাগুলো।
ফলে কাজ হারাতে শুরু করেছেন অসংখ্য কর্মী। এমন বহু নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বড় আকারে কমে যাওয়ার আভাস দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। যাকে এখন আর মন্দা নয়, কেউ কেউ মেলাচ্ছেন ১৯৩০-এর মহামন্দার সাথে। যার স্থায়িত্ব ছিল টানা দশ বছর।
এই দুর্যোগ কতোটা ভোগাবে বাংলাদেশকে? হিসাব বলছে, ৩শ বিলিয়ন ডলার আয়তনের জিডিপিতে আমদানি রপ্তানি, রেমিট্যান্স মিলিয়ে ১শ বিলিয়নই সরাসরি জড়িত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সাথে। করোনা ইস্যুতে এরই মধ্যে যা ধাক্কা খেয়েছে বড় আকারে।
এছাড়া সাড়ে ষোলো কোটি মানুষের দেশীয় বাজারও বড় শিকার হতে যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ভেঙে পড়া সরবরাহ ব্যবস্থার। কমছে উৎপাদন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা কর্মসংস্থানে। ফলে, বাড়তে থাকা বেকারত্বের হার গিয়ে ঠেকতে পারে নতুন উচ্চতায়। আর অনানুষ্ঠানিক খাতে এই ধাক্কা হতে পারে আরও বড়।
এরই মধ্যে আর্থিক সংকট মোকাবেলায় বড় বড় প্রণোদনা ঘোষণা করেছে বহু দেশ। যদিও, এখনও সে ধরনের উদ্যোগ নেই বাংলাদেশে।