বিশ্লেষকরা বলছেন, রুগ্ন প্রতিষ্ঠানের পেছনে করের টাকা না ঢেলে এখনই উচিত তা বন্ধ করে দেয়া।
সারিবদ্ধ তাঁতঘরে যন্ত্রের শশব্দ আওয়াজ বেশ খানিকটা ফিকে হয়ে গেছে লতিফ বাওয়ানী জুট মিলে। পরিত্যক্ত হয়ে আছে বহু তাঁত। জমাট বাঁধা ধুলোয়, কোনোটিকে চেনাও এখন দুঃসাধ্য। ১৯৫৬ থেকে উৎপাদন চললেও বর্তমানে সাড়ে আটশ যন্ত্রের মধ্যে চালু মাত্র ৩৮৮টি। অথচ, এর বিপরীতে শ্রমিক কাজ করেছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। যারা পণ্য উৎপাদন করতে পারেনি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও।
প্রায় একই অবস্থা, বিজেএমসির অন্য কলগুলোর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে করপোরেশনের ২২ কলে মোট তাঁত চলেছে চার হাজারের কিছু বেশি। যা আগের বছর থেকে কমেছে দেড় হাজার। অথচ ৩৯ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের বিপরীতে কাজ করেছে ৫৯ হাজার। ফলে, বাড়তি শ্রমিক পুষতে গিয়ে অতিরিক্ত লোকসান দিতে হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।
আরো ভয়াবহ অবস্থা ছিল উৎপাদন পর্যায়ে। কারণ, দৈনিক ৪শ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পণ্য পাওয়া গেছে আড়াইশ টনের কম। তাই, সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন না হওয়ায়, সেখানে ক্ষতি গেছে ৩৩৪ কোটি টাকা। উৎপাদন করতে না পারার পেছনে বড় যুক্তি ছিল, কাঁচা পাটের অভাব। নগদ টাকা না থাকায় যা সময়মতো কিনতে পারেনি কলগুলো। এছাড়া, বহু অপ্রত্যাশিত খরচে ভারি ছিল আয় ব্যয়ের খাতা। যে কারণে, এক বছরের ব্যবধানে ৫০ কোটি টাকা লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে পৌনে ছয়শ কোটিতে।
উৎপাদনের বাইরে রপ্তানি বাজারেও দুরবস্থায় পড়েছে করপোরেশন।