বিনিয়োগে সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থানে থাকায় বাংলাদেশে গত বছর দু'য়েক জাপানের হোন্ডা কিংবা চীনের রাষ্ট্রীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেদারছে টাকা লগ্নি করেছে এদেশে। গতবছরই বলা চলে বিদেশি বিনিয়োগের হার বেড়েছে অনেকটা রকেট গতিতেই।
২০১৭ এর সঙ্গে তুলনায় দেখা যায় এই প্রবৃদ্ধি হার ৬৮ শতাংশ। বেশ ঘটা করে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরব। ইউরোপ থেকেও কয়েকটি নামিদামী শিল্প জায়ান্ট যোগাযোগ করছে নীতি নির্ধারকদের সাথে।
ব্যবসা বা শিল্প কারখানা চালু করতে একই স্থানে সবধরনের সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অঞ্চল গড়ে তুলবে সরকার। বেজার চেয়ারম্যান বলছেন, অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনবে এইসব অঞ্চল।
বাংলাদেশের সাথেই শতকোটি মানুষের বাজারের দেশ ভারত। একটু এগুলেই চীন। সাথে আছে মানায়মার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া-কম্বোডিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি শক্তিশালি অর্থনীতি। এই অবস্থানের সুযোগ নিতেই বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী নামকরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।
একদিকে সস্তা শ্রমিক আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে সরকারের অব্যাহত বিনিয়োগ। যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ কয়েকটি বড়ো প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি। নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, এর একটা সুফল পাওয়া যাবে খুব সহসাই।
কয়েকটি সূত্র জানায়, দিন কয়েক আগে জাপানের অন্তত ৮০ জন নামকরা শিল্পপতির সাথে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশি নীতি নির্ধারকরা।