গত সোমবার রাতে ডি অ্যাঞ্জেলো এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, 'আমাদের দায়িত্ব ছিল এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, কিন্তু আমরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি।'
গত ৩০ নভেম্বর হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারে কোরা কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিকর থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম কোরার সিস্টেমে ঢুকে পড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কোরা কর্তৃপক্ষ। ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
অ্যাডাম ডি অ্যাঞ্জেলো বলেন, সমস্যার কারণ চিহ্নিত করতে পেরেছেন তারা। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে তদন্তকাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের অফিসের বিশেষজ্ঞ এবং বাইরে বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। আর কী কী পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে আর এমন হবে না, সেটা নিয়েও কাজ চলছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ও যেকোনো সমস্যার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
ডি অ্যাঞ্জেলো ফেসবুকের সাবেক প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে কোরা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে। সাইটটিতে মাসিক ৩০ কোটি ইউনিক ভিজিটর রয়েছে।
কোরা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে, তাদের ই–মেইলের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে এবং তাদের লগ আউট করে দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনার মধ্যে কোরার হ্যাকিংয়ের ঘটনাটিও গুরুত্বপূর্ণ।
সফটওয়্যার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজিসের একজন মুখপাত্র বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশাল তথ্যভান্ডার রয়েছে, তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে হ্যাকাররা। সম্প্রতি এয়ারলাইনস ও হোটেল চেইনে আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কোরার হ্যাকিংয়ের ঘটনার কোনো আর্থিক তথ্য হাতছাড়া হয়নি। তবে যাঁরা কোরা ব্যবহার করেন, তাঁদের দ্রুত পাসওয়ার্ড বদল করে ফেলা উচিত। একই পাসওয়ার্ড অন্য অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা ঠিক নয়।
যদি গুগল ও ফেসবুক ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন, তবে অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড তৈরি করে নিতে পারেন।