খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ধান-গমের বিকল্প শস্য আবাদের পরামর্শ
আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় বাংলাদেশ তো বটেই, এবার ধানের ভালো ফলন হয়নি চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত ও ভিয়েতনামেও। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে চালের দাম। কিন্তু চালের দাম এখন সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে চাল ও গমের পাশাপাশি বিকল্প শস্য আবাদে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
চালের বাজারে চলছে চালবাজি। তাই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তারা। যদিও বিক্রেতাদের দাবি ভিন্ন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর রোগবালাইয়ের কারনে বোরো মৌসুমে ধানের ফলন কমেছে অন্তত ১০ শতাংশ। তবে এই চিত্র যে শুধু বাংলাদেশে তা নয়, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আশানুরুপ ফলন হয়নি চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত এবং ভিয়েতনামও। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে চালের দাম। যদিও দাম বাড়ার এই হার বাংলাদশের তুলনায় অনেক কম।
ফলন কম হওয়ার পরও বাজারে বর্তমানে যে দামে চাল বিক্রি হচ্ছে, তাকে অস্বাভাবিকই বলছেন, কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, চালের দর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হলে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে, কৃষক-ভোক্তা সবাই।
এদিকে কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া আর নতুন নতুন রোগ বালাই, প্রতিনিয়ত যুক্ত হওয়ায় ধান এবং গমের ফলনে গতি হারাতে পারে বাংলাদেশ। তাই দরকার শস্য বহুমূখী করার।