পোকমাকড় বন্ধ্যা করার কৌশল বা এসআইটি। এ পদ্ধতিতে শক্তিশালী গামা রশ্মির নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগে প্রথমে বন্ধ্যা করা হয় পুরুষ এডিস মশাকে। যা প্রকৃতিতে ছাড়ার পর নারী এডিস মশার সাথে মিলে, বন্ধ করে দেয় তাদের প্রজনন ক্ষমতা।
ফলে ডেঙ্গু রোগের বাহক নারী এডিস মশার সংখ্যা কমতে থাকে জ্যামিতিক হারে। সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশনের পরীক্ষাগারে এই মশা উৎপাদন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন প্রস্তুতি চলছে এগুলোকে বাইরের পরিবেশে ছাড়ার।
সম্প্রতি পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার তদরককারি প্রতিষ্ঠান- IAEA, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং FAO এর প্রতিনিধিরা ঘুরে গেছেন সাভারের পরীক্ষাগার। ২০২০-২১ সালেই, বন্ধ্যা পুরুষ এডিস মশা প্রকৃতিতে ছাড়ার পাইলট প্রকল্প নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে IAEA।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, ব্রাজিল, ইতালি এবং সবশেষ চীনে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে SIT প্রযুক্তির। সাভারে নিজস্ব স্থাপনা এবং ঢাকা-রংপুর-রাজশাহীসহ পুরনো কয়েকটি মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বন্ধ্যা মশা তৈরির প্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছে পরমাণু শক্তি কমিশন।
পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বলছেন, অন্যান্য দেশে সাধারণত দ্বীপের মতো বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই মশা ছাড়া হয়েছে।
সোনাদিয়া দ্বীপে, শুটকি উৎপাদনে ক্ষতিকর মাছি নিয়ন্ত্রণেও নিয়মিতভাবে SIT প্রযুক্তির সফল প্রয়োগে করছে পরমাণু শক্তি কমিশন।
নিউজটির বিস্তারিত প্রতিবেদন ভিডিওতে-