২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতকড়া দিয়ে থানা থেকে আদালতের বারান্দা ঘুরে ফয়সালের ঠিকানা হলো বরিশাল কারাগারে। একদিন দুদিন করে প্রায় দেড় বছর। এর মধ্যে খরব হলো ৬টি চেক জালিয়াতি মামলায় তারা সাজা হয়েছে ৩ বছর।
ছেলের এমন দশায় ৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবা ঘুরছেন সবার দ্বারে দ্বারে। অনেক দেন দরবারের খোজ মেলে ঢাকার বাংলাবাজারে কমার্স ব্যাংকে চেক জালিয়াতির ৬ টি মামলার বাদী এলাকারই ছেলে সাইফুল ইসলাম বাহার।
নথি ঘেটে পাওয়া যায়, ২০১২ সালে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ফয়সালের ভোটার আইডি কার্ড নকল করে খোলা হয় একটি একাউন্ট। নাম্বার ২৮১২। তবে সেই একাউন্টে কোনদিন লেনদেন হয়নি একটি টাকাও। তারপরও ৬টি চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা জালিয়াতির মামলায় জেল খাটছেন হতভাগা ফয়সাল।
বাংলাবাজারের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক শাখার কর্তব্যাক্তিরাও চেষ্টা করেছেন বিষয়টি এড়িয়ে যেতে।
ভূক্তোভোগির আবেদনে মামলার চেক গুলো পরীক্ষা করে সিআইডি। প্রমান মেলে চেকে প্রতিটি স্বাক্ষরই জালা। তাই জব্দ করা হয়েছে সেই ব্যাংক একাউন্টও।
চেক জালিয়াতির মামলায় কোন ব্যক্তির সাজা হলে তার অর্ধেক অর্থ পরিশোধ করতে হয় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে। কিন্তু ভুয়া ২কোটি ৭০ লাখ টাকা জালিয়াতির ঘটনায় এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা দেয়া সম্ভব নয় বলে আর আপিল করতে পারেননি ফয়সালের বাবা। আইনজীবীর দ্বারে দ্বারে বার বার ঘুরে সাহায্য মেলেনি কোথাও।
সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলছেন, চেক জালিয়াতির মামলায় সব বিবেচনা করে রায় দেয়া উচিৎ। না হলে অসহায় মানুষ এভাবে সাজা ভোগ করতেই থাকবেন।
আইনের এমন ব্যতয়ে ছেলে জেলে থাকা মেনে নিতে পরাছেনা বাবা।
তবে এখন দেখার বিষয় এ মামলায় উচ্চ আদালত কি ভূমিকা নেন।