প্রতিদিন যেসব ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার করে মানুষ, তারমধ্যে এক মোবাইলেই পুনঃব্যবহার সম্ভব এমন পদার্থ আছে কমবেশি ১৬টি। যার অর্ধেকই লোহা। আর প্লাস্টিক রয়েছে ২১ শতাংশ।
আরও জানতে : ই-বর্জ্য, স্বাস্থ্যঝুঁকির নতুন দুর্ভাবনার নাম
বাংলা ভয়েস কমান্ডেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে যেকোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস!
নদীতে মা ইলিশ টানতে ভারতের নতুন পরিকল্পনা
বুয়েটের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মোবাইল টাওয়ার থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা, দেশে ই-বর্জ্যের উৎস কমপক্ষে ১৫টি। এসব উৎস বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়ায় স্বর্ণ, রূপা, প্যালাডিয়ামসহ নানা ধরনের মূল্যবান ধাতু পাওয়া সম্ভব। এমন কী মিলতে পারে, অতিমূল্যবান প্লাটিনাম। ফলে ই-বর্জ্যে রয়েছে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা।
দেশের প্রথম ই-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকারী প্রতিষ্ঠান আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক এ.বি. সিদ্দিক সেলিম মিয়ার মতে, নতুন এ সম্ভাবনা উন্মোচনে দরকার সরকারের বিশেষ দৃষ্টি।
তবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছে, আইনে সংশোধনী না আসা পর্যন্ত এ খাতে সরকারি প্রণোদনা সম্ভব নয়।
যদিও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলছেন, ই-বর্জ্যের পুনঃপ্রক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে নানাভাবেই উৎসাহিত করা সম্ভব।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যবসায়িক সম্ভাবনা পুরোদমে কাজে লাগানো গেলে, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অনেকটাই সহজ হবে।