রূপপুরের আদলে নির্মিত রাশিয়ার নভোভরনেশ-দুই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইউরেনিয়াম ব্যবহার শুরু হয় ২০১৬ সালের মার্চে। বর্তমানে কেন্দ্রটি বানিজ্যিক উৎপাদনে রয়েছে।
আরও: প্রযুক্তির ব্যবহারে মাত্র ১০ মিনিটেই শনাক্ত অজ্ঞাত মরদেহ
ই-বর্জ্য, স্বাস্থ্যঝুঁকির নতুন দুর্ভাবনার নাম
তরুণ উদ্ভাবকদের রোবট মারস রোবার
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউরেনিয়ামের ব্যবহার শুরু করবে বাংলাদেশ। ওই বছরের অক্টোবরে রূপপুর এনপিপি-১ চুল্লিতে ইউরেনিয়াম সংযোজন করা হবে।
সম্প্রতি এই জ্বালানী সরবরাহে, রুশ পরমাণু শক্তি প্রতিষ্ঠান-রোসাটমের সাথে একটি প্রাথমিক রূপরেখা চুক্তি করেছে পরমাণু শক্তি কমিশন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলছেন, যে ধরনের প্রযুক্তিতে পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করা হচ্ছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই কিনতে হবে ইউরেনিয়াম। যারা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে, তাদের থেকেই জ্বালানি সংগ্রহ বুদ্ধিমানের কাজ।
ছয় মাসের মধ্যে এ নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি হবে বলেও জানান বিজ্ঞানমন্ত্রী।
প্রকল্প বাস্তবায়ণকারি কোম্পানী এনপিসিবিএল'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পুরো মেয়াদেই একই উৎস থেকে জ্বালানী পাবেন তারা।
তবে নতুন কোন দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাধারনত নিরুৎসাহিত করে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা-আইএইএ। সারাবিশ্বে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যাবহার তদারকি এই প্রতিষ্ঠান জ্বালানী হিসাবে ইউরেনিয়ামের ব্যবহারকে সবসময়ই চোখে চোখে রাখে।
তবে একক উৎস থেকে ইউরেনিয়াম নেয়ায় বাংলাদেশ একচেটিয়া ব্যবসার ফাঁদে পড়বে কিনা? কেউ কেউ এমন আশংকা করলেও, এতে কোন সমস্যা হবেনা বলে মনে করেন আইএইএ'র সাবেক কর্মকর্তা ড. শহীদ হোসেন।
অবশ্য যে প্রতিষ্ঠান, TVEL থেকে ইউরেনিয়াম পাবে বাংলাদেশ সেটির ব্যবসাতে অংশদারীত্ব আছে রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের।