গেল বছরের ৩০ জুলাই ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা গৃহঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে ১০ শতাংশ সুদের অর্ধেকটা দিচ্ছে সরকার।
আরও: রক্তনালীর ব্লকে সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রতি বছর অঙ্গহানি হয় ১০-১২ লাখ মানুষের
চুক্তিপত্র ছাড়াই নাটক-টেলিছবিতে কাজ করছেন কলাকুশলীরা
গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপে দেখা দেয় একলামশিয়া
তবে প্রজ্ঞাপন জারির মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই এলো নতুন আবেদন। গাড়ি কেনায় সুদমুক্ত ঋণের মতোই গৃহঋণ চান সরকারি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে লেখা চিঠিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান জানান, সাধ থাকলেও অনেকেই ধর্মীয় রীতি মেনে চলায় সুদের কারণে সরকার ঘোষিত এই ঋণের সুবিধা নিতে পারছেন না। তাই ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় গৃহঋণের এই সুদকে অনুদান বা চাঁদা হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের এমন সুবিধা বৈষম্য তৈরি করবে সমাজে। বিপত্তি তৈরি হবে ব্যাংকিং কার্যক্রমেও।
যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, সরকারি সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করবে না সরকার। যাছাইবাছাইয়ের পরই কেবল এই বিষয়ের সিদ্ধান্ত। তবে, সরকারি সুবিধা প্রদানে বৈষম্য করবে না সরকার।
এ বিষয়ে অবশ্য ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। আর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গেল মাস পর্যন্ত ৫ শতাংশ সুদ সুবিধার আওতায় ঋণ নিয়েছেন ৬ জন সরকারি কর্মকর্তা।