শেষ মুহুর্তে যখন হলো না রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। ঠিক সেসময়ে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অপতৎপরতার নতুন প্রমাণ হাজির করলো জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।
বলা হচ্ছে জাতিগত নির্মূলের উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ অন্য গোষ্ঠীগুলোর ওপর পদ্ধতিগতভাবে গণহত্যা ও ধর্ষণের পথ বেছে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নিপীড়নের ধরণ
১. নারী, কিশোরী ও গর্ভবতীদের গণধর্ষণ
২. নারীর যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করা
৩. নারীদের গর্ভধারণে অক্ষম করে দেয়া
৪. পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের যৌন নিপীড়ন
সংস্থার নতুন প্রতিবেদন বলছে, বেশিরভাগ আক্রমণের শিকার নারী ও কিশোরীরা। অথচ নিপীড়নে জড়িতদের দায়মুক্তি দিচ্ছে সু চি প্রশাসন। এর আাগে রোহিঙ্গা নারীদের নির্মমভাবে গণধর্ষণের পথ বেছে নিয়েছিলো মিয়ানমার বাহিনী।
এখন শান ও কাচিন রাজ্যেও নারী, কিশোরী, ছেলে সন্তান, পুরুষ এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের বিরুদ্ধেও নিয়ম মাফিক ও পদ্ধতিগতভাবে ধর্ষণ, গণধর্ষণ অব্যাহত রেখেছে বার্মিজ সামরিক বাহিনী। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। অবশ্যই এর বিচার হতে হবে।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠাতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বানসহ বেশ কিছু সুপারিশও দিয়েছে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। প্রয়োজনে অস্থায়ী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে।
১. মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দ্রুত তদন্ত ও বিচার।
২. মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সংবিধানে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে দেয়া দায়মুক্তি অধ্যাদেশ সংশোধন।
৩. আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী দন্ডবিধি সংশোধন।
৪. রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ বা অস্থায়ী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে নিরাপত্তা পরিষদকে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও নিপীড়কদের বিচারে নিরাপত্তা পরিষদকে আইসিসি-তে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
HRW বলছে, রাখাইনে থাকা ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে চলাচলে বাধা নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। ঐ এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। গত ২১ জুন থেকে ৯টি শহরে বন্ধ ইন্টারনেটও।