কাশ্মীর যেন এখন এক বিচ্ছিন্ন জনপদ। কারফিউ, সেনা টহলে একরকম অবরুদ্ধ জীবনযাত্রা। বন্ধ খাবার সরবরাহ। খাবার স্বল্পতা ও এটিএম কাজ না করায় নিত্যপন্যের দামও বেড়েছে কয়েকগুন।
আরও: কাশ্মিরে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের চেষ্টা, পুলিশের গুলিতে নিহত ৬
কাশ্মীর ইস্যু: আন্তর্জাতিক মহলে চাপের মুখে ভারত
হঠাৎ গুগলে 'কাশ্মীরি গার্ল' সার্চ বেড়েছে ভারতে
অনাহারে-অর্ধাহারে কাশ্মীর ছাড়ছে অন্য রাজ্যের শ্রমিকরা।
এক শ্রমিক জানায়, কদিন ধরেই এখানে কোনো কাজ নেই। ৪ দিন ধরে রেশনও পাচ্ছি না। এরমধ্যে স্থানীয়রা এসে বেধড়ক পিটানোর পর বললো এখান থেকে চলে যাও।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে অনেকের। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এক কাশ্মীরী বলেন, '৭০ ঘন্টা ধরে একরকম অবরুদ্ধ অবস্থায় আমরা। কারো সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। নির্দোষ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মোদি সরকার যে অমানবিক কাজ করছে; তা কোনো সভ্য সমাজে মানায় না।'
আরেকজন বলেন, 'কারফিউ জারি করে আমাদের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ করে তুলেছে মোদি সরকার। রোগীদের হাসপাতালেও নিতে পারছি না।'
ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের কাশ্মীর কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফখর ইমাম বলেন, 'কাশ্মীরের জনমিতি পরিবর্তনের অপচেষ্টা ঠেকাতে ভারতের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেন আহ্বান জানায়, সেই আবেদন করছি। একইসাথে জাতিসংঘ রেজুলেশন মেনে পাকিস্তানকে সাথে নিয়ে সমাধান চেষ্টা করা হোক।'
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দুপক্ষকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে, মালয়েশিয়া। দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। দ্রুত কাশ্মীরের জনজীবন স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়েছেন এক ব্রিটিশ এমপি।
যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির এমপি লিয়াম বার্ন বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর কাশ্মীরে যা চলছে, বিশ্ববাসী যাতে তা জানতে না পারে, এজন্যই কারফিউ দিয়ে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। মোদি সরকারের প্রতি আহবান, এ সব বন্ধ করুন।
কাশ্মীরে কারফিউ প্রত্যাহার ও মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন এক কংগ্রেস কর্মী।
নিউজটির ভিডিও প্রতিবেদন-