এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে কুমিল্লার বেশিরভাগ ইটভাটায়।
ধূলোময় পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভাটায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও চাপা কষ্টে পেটের তাগিদে মেনে নিতে হচ্ছে সব।
জানা গেছে জেলার বেশিভাগ ভাটাই চলছে পরিবেশ অধিদপ্তের ছাড়পত্র ছাড়া। অনেকেরই লাইসেন্সের মেয়াদ নেই।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, বাণিজ্যিক এলাকা, কৃষিজমিসহ পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। একই সাথে শ্রম আইন ২০০৬ এ বলা হয়েছে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যহানি করে এমন কোন পরিবেশে কাজ করানো যাবে না। যার কোনটিই মানা হচ্ছে কুমিল্লার এসব ভাটায়।
আবেদনকারীর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার ভিত্তিতেই ভাটা স্থাপনের অনুমতি দেয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ভাটা মালিকদেরও রয়েছে নানা যুক্তি।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বেশিভাগ ভাটারই লাইসেন্স নেই যাদের আছে তারাও নবায়ন করেননি। একই সাথে সঠিক ভাবে নিশ্চিত হচ্ছে না শ্রমিকদের নিরাপত্তাও।
যদিও নানা অজুহাতে এবিষয়ে এড়িয়ে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। আর জেলা প্রশাসক বলছেন, ইটভাটার পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছেন তারা।
প্রশাসনের তথ্যে, কুমিল্লায় মোট ইটভাটা রয়েছে ৩১৯টি। এরমধ্যে ৯৩টি ভাটার লাইসেন্সই মেয়াদত্তীর্ণ।