যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গোল্ড ব্রিকস। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই রামপুর গ্রামের ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এ ইটভাটা। এরপাশে চলছে হাবিব ব্রিকস নামে আরেকটি ইটভাটা নির্মাণের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। নতুন করে আরেকটি ইটভাটা গড়ে উঠলে বন্ধ হয়ে যাবে ফসল উৎপাদন।
পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে দাবি করলেও দেখাতে পারেনি গোল্ড ব্রিকস। আর হাবিব ব্রিকসের মালিক স্বীকার করেছেন, এখনো মেলেনি কোনো ছাড়পত্র। কৃষিবিদরা বলছেন, যশোর অঞ্চলে তিন ফসলি জমিই বেশি। যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে উঠলে মাটির উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর এতে কমে যাবে ফসল উৎপাদন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলছেন, নিয়ম না মানার কারণে এসব ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। এরপরও ইটভাটা গড়ে ওঠায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, যশোর জেলায় ১২০টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ৪১টিরই নেই প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।