বিশ্লেষকদের মতে, গ্রাহকদের কাছে অর্থ আদায় করলেও তা সরকারি কোষাগারে সময়মতো জমা না দেয়া এক ধরণের প্রতারণা যা অর্থনৈতিক নীতি শৃঙ্খলা নষ্ট করে। এ নিয়ে এনবিআরের সাথে চিঠি চালাচালি হলেও সুফল মেলে না খুব একটা। ফিলিং স্টেশন থেকে গ্রাহকরা জ্বালানি নেয়ার সাথে সাথেই গ্রাহকরা পাওনা পরিশোধ করেন নগদ টাকায়। এর একটি অংশ কেটে রাখা হয় ভ্যাট হিসেবে। যা সাথে সাথেই সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। অথচ এ ভ্যাট সরকারি তহবিলে জমা না দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিপিসির আওতাধীন প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠান তা নিজেদের তহবিলে ধরে রাখছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে যথাসময়ে রাজস্ব আহরণ।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের পক্ষে এনবিআরকে দেয়া এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিপিসির কাছে সবমিলে বকেয়া দাড়িয়েছে ৩৫৬৪ কোটি টাকা। বকেয়ার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েলের বকেয়া প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। অপর প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েলের বকেয়া ৭৩৮ কোটি,স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বকেয়া ৩৬ কোটি এবং পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বাকি ৮ কোটির কিছু বেশি। সংশ্লিষ্টদের মতে, সময়ত রাজস্ব আহরণ না হলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সার্বিক অর্থনীতিতে। এটি একদিকে যেমন গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা অন্যদিকে নষ্ট করে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা। বকেয়া আদায় করা গেলে রাজস্ব লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হতো বলেও মনে করেন তারা। এনবিআর জানায়, এভাবে রাজস্ব বকেয়া রাখার ফলে চলতি অর্থবছরের ঘাটতি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।